যুক্তরাষ্ট্রে নাইট্রোজেন গ্যাস দিয়ে মৃত্যুদণ্ড সম্পন্ন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দীকে নাইট্রোজেন গ্যাসের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এই পদ্ধতি পূর্বে শুধুমাত্র আলাবামা রাজ্যে ব্যবহার করা হতো। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা একে নির্যাতনের সঙ্গে তুলনা করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) লুইসিয়ানা রাজ্যে প্রথমবারের মতো নাইট্রোজেন গ্যাস ব্যবহার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৯৯৬ সালে মেরি ’মলি’ এলিয়টকে অপহরণ, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত ৪৬ বছর বয়সী জেসি হফম্যানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এটি লুইসিয়ানায় ১৫ বছর পর প্রথম মৃত্যুদণ্ডের ঘটনা।
স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিবৃতিতে হফম্যানের দুই আইনজীবী মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, যদিও রাজ্য কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করেনি।
আইনজীবী সেসেলিয়া ক্যাপেল বলেন, ‘রাষ্ট্র নতুন প্রোটোকল জারি করে এবং মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের তারিখ নির্ধারণ করে তাকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে সক্ষম হয়েছে, যাতে সতর্কতার সাথে বিচারিক পর্যালোচনা রোধ করা যায় এবং প্রক্রিয়াটি গোপন রাখা যায়।’
এই সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে আরও তিনটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে, এর মধ্যে একটি অ্যারিজোনায় বুধবার এবং দুটি ফ্লোরিডা ও ওকলাহোমায় বৃহস্পতিবার কার্যকর হবে।
তিনটি মৃত্যুদণ্ডই প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে কার্যকর করা হবে। বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আরও ছয়টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। এর মধ্যে আলাবামায় নাইট্রোজেন ইনহেলেশনের মাধ্যমে একটি এবং দক্ষিণ ক্যারোলিনায় ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে একটি ছাড়া বাকি সবগুলো প্রাণঘাতী ইনজেকশনের মাধ্যমে কার্যকর করা হয়।
হফম্যানের আইনজীবীরা তার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তারা সফল হননি।
২৫ জানুয়ারি, ২০২৪ সালে আলাবামায় কেনেথ স্মিথের মৃত্যুদণ্ড ছিল বিশ্বের প্রথম নাইট্রোজেন ইনহেলেশনের মাধ্যমে, যা ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছিল। এরপর রাজ্যে আরও তিনটি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি রাজ্যের মধ্যে ২৩টি রাজ্যে মৃত্যুদণ্ড বাতিল করা হয়েছে। অন্য ছয়টি রাজ্যে (অ্যারিজোনা, ক্যালিফোর্নিয়া, ওহিও, ওরেগন, পেনসিলভানিয়া এবং টেনেসি) মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর স্থগিতাদেশ রয়েছে।
সূত্র : এপি
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta