গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৩৩০ জন ছাড়িয়েছে
ফিলিস্তিনের গাজার বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর ইহুদিবাদী সেনারা অবরুদ্ধ উপত্যকায় তাণ্ডব শুরু করে। এতে ৩৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে, যার মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে। এছাড়া আরও অনেকে আহত হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর এটি ছিল ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা।
হামলার পরপরই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় গাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ পুনরায় শুরুর ঘোষণা দেয়। এতে বলা হয়, জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে চাপ দেয়ার উদ্দেশ্যে এই অভিযান চালানো হচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়। এছাড়া ২০০ এর বেশি মানুষকে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। এরপর গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল।
অভিযানের নাম করে গাজায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেখানে এমন কোনও স্থান নেই যেখানে ইসরায়েল হামলা চালায়নি। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ, আবাসিক ভবনসহ অধিকাংশ স্থাপনাই ধ্বংস হয়ে গেছে।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে কমপক্ষে ৪৮ হাজার ৫৭৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৭০০ জন।
তবে গাজার গভর্নমেন্ট মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, সেখানে ৬১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এছাড়া ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ হাজার হাজার ফিলিস্তিনি আর বেঁচে নেই।
ইসরায়েল দাবি করেছে, হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে। ইসরায়েলি প্রচারমাধ্যম কানের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী অভিযোগ করেছে যে, হামাসের যোদ্ধারা পুনরায় হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। সূত্র: আল-জাজিরা।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta