ঈদের ছুটিতে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ১৬টি নির্দেশনা
ঈদুল ফিতরের ছুটিতে হাসপাতালগুলোতে জরুরি স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য ১৬ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দেশের সব সরকারি হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, জরুরি অস্ত্রোপচার এবং পরীক্ষাগার ঈদের ছুটিতেও চালু রাখা হবে।
আজ মঙ্গলবার, অধিদপ্তরের একটি অফিস আদেশে এই তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
নির্দেশনাগুলো হলো-
(১) জরুরি বিভাগে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে সার্বক্ষণিক চিকিৎসক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
(২) জরুরি বিভাগ, লেবার রুম, ইমার্জেন্সি ওটি, ল্যাব সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
(৩) কর্মস্থলে প্রয়োজনীয় জনবল এবং চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ঈদের আগে ও পরে কর্মীদের ছুটি পর্যায়ক্রমে দেয়া যেতে পারে।
(৪) প্রতিষ্ঠান প্রধানদের জরুরি চিকিৎসা কার্যক্রম এবং জনস্বার্থে ছুটি মঞ্জুর করার দায়িত্ব থাকবে।
(৫) সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় পরিচালককে অবহিত করে ঈদের ছুটির সময়ে নিজ জেলা মধ্যে জরুরি জনবল সমন্বয় করা যাবে।
(৬) হাসপাতালের ইউনিট প্রধানরা তাদের বিভাগের কার্যক্রম তদারকি করবেন এবং মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি ল্যাব ও এক্স-রে সেবা চালু রাখতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অন কল সেবা চালু রাখতে হবে।
(৭) ছুটি শুরুর আগেই পর্যাপ্ত ওষুধ, আইভি ফ্লুইড, কেমিক্যাল রি-অ্যাজেন্ট এবং সার্জিক্যাল সামগ্রী মজুদ ও তাৎক্ষণিক সরবরাহের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্টোর কিপার অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টাফ অবশ্যই নিজ জেলা ও উপজেলায় অবস্থান করবেন।
(৮) অ্যাম্বুলেন্স সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখতে হবে।
(৯) ছুটি চলাকালে হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতে হবে।
(১০) হাসপাতালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা মেনে চলতে হবে।
(১১) প্রতিষ্ঠান প্রধান ও বিভাগীয় প্রধানরা ছুটি চলাকালীন সেবা প্রদানকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন এবং ঈদের দিনে তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
(১২) প্রতিষ্ঠানের প্রধান ছুটি নিলে, দায়িত্বে কাউকে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম ও মোবাইল নম্বর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।
(১৩) ঈদের দিনে রোগীদের জন্য উন্নতমানের খাবার সরবরাহের তদারকি করবেন এবং রোগীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
(১৪) বহির্বিভাগে ৭২ ঘণ্টার বেশি বন্ধ রাখা যাবে না। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
(১৫) ক) বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর জরুরি ও প্রসূতি বিভাগ সার্বক্ষণিক খোলা রাখতে হবে।
খ) কোনো রোগী রেফার করার আগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং যাত্রাপথের চিকিৎসা প্রদান করতে হবে।
গ) রেফার্ড রোগীরা যেন অ্যাম্বুলেন্স পায়, সে জন্য সহায়তা করতে হবে।
(১৬) যেকোনো দুর্যোগ বা অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুমে জানাতে হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta