প্রায় ১১ বছর পর দেশে ফিরে নিজ গ্রামে হাজারো ভক্তের উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। আজ সোমবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে নিজ বাড়িতে গ্রামবাসী তাকে এ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা জানান।

এ সময় হামজা দেওয়ান চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মোর্শেদ চৌধুরীসহ তার নিকটাত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন, যারা লাল সবুজের জার্সি গায়ে দেয়ার অপেক্ষায় ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার লোকজন।

এর আগে সিলেট থেকে সড়ক পথে পরিবারসহ হবিগঞ্জ পৌঁছান হামজা দেওয়ান চৌধুরী। স্নানঘাট বাজারে পৌঁছানোর পর মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় ভক্তরা।

নিজ বাড়িতে কিছুটা বিশ্রাম নেয়ার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সংবর্ধনা মঞ্চে আসেন হামজা। এ সময় ভক্তরা হামজা হামজা শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা।

২০ সেকেন্ডের বক্তব্যে হামজা দেওয়ান চৌধুরী বলেন, ‘আমি খুব খুশি, আপনারা আমাকে দেখার জন্য এসেছেন।’

পরে তিনি বাংলাদেশ জিন্দাবাদ শ্লোগান দেন, এবং লেস্টার সিটির হয়ে মাঠ মাতানো এই তারকা ফুটবলার ভক্তদের উজ্জীবিত করেন।

হবিগঞ্জ অনুর্ধ্ব ১৫ ফুটবল দলের কয়েকজন খেলোয়াড় জানান, হামজা চৌধুরীকে এক নজর দেখতে এসেছি। তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে একদিন দেশের জন্য খেলব, এবং তিনি আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবেন এই আশা করি।

হবিগঞ্জ জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, হামজা আমাদের জেলার নয়, দেশের গর্ব। তার হাত ধরে ফুটবলের উন্নতি ঘটুক, এটাই আমাদের চাওয়া।

আজিজ সিদ্দিকী, স্নানঘাট গ্রামের বাসিন্দা বলেন, ‘হামজা দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকেই দেশের ফুটবলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরা তার জন্য দোয়া করি যেন সে দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারে।’

এদিকে হামজার আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। সড়কের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

বিডি প্রতিদিন/জামশেদ