কাফনের কাপড় পরে কারিগরি শিক্ষার্থীদের মিছিল
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল ইসলামের (২২) মরদেহ বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিজিবি ও পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। রাত ১১ টায় ভারতীয় পুলিশ এবং বিএসএফের পক্ষ থেকে এই মরদেহ দেয়া হয়।
হাসিবুল ইসলাম ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮ টায় মারা যান। ওইদিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিএসএফ তাকে গুলি করে। পরদিন বৃহস্পতিবার কোচবিহারের হাসপাতাল থেকে মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে রাত ১১ টায় ফেরত দেয়া হয়।
এ বিষয়ে জানা যায়, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্ত ও ভারতীয় কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে লাশের হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়, যা পিলার ৮৮১ এবং উপপিলার ১৩ এর কাছাকাছি ছিল।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি, বাংলাদেশ ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম, নিহতের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা রশিদুল ইসলাম।
বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের কাছে থেকে বাংলাদেশ পুলিশ এবং বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে। রাতেই থানা পুলিশ নিহতের বাবা ও চাচার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে।
উল্লেখযোগ্য যে, গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে হাসিবুল ইসলাম হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্তে ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন। এ সময় বিএসএফের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দল তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে, এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিতে পড়ে যান। এরপর বিএসএফ তাকে রাইফেলের বাট ও লাঠি দিয়ে মেরে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসিবুলকে শীতলকুচি থানার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে নেয়া হয়, যেখানে তার মৃত্যু হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশ পুলিশের হাতে মরদেহ হস্তান্তর করেছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতেই মরদেহ নিহতের বাবা এবং চাচাকে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিজিবির ৬১ ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta