চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব, আগের মতো জৌলুস নেই
আজ বাংলা বছরের শেষ দিন। চৈত্র মাসের এই শেষ দিনকে চৈত্র সংক্রান্তি বলা হয়। দীর্ঘকাল ধরে এ দিনটি বাংলার ঐতিহ্যকে ধারণ করে এসেছে। বছরের শেষ দিনে পুরনো বছরকে বিদায় জানানো এবং নতুন বছরকে বরণ করার জন্য প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান-উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
এমনই এক উৎসব হলো ঘুড়ি উৎসব। চৈত্র সংক্রান্তিতে বিভিন্ন রঙ ও আকারের ঘুড়ি আকাশে উড়ে, সৃষ্টি হয় মনোরম দৃশ্য। ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে নানা বয়সের মানুষ, ছেলে-বুড়ো সকলেই। আকাশে চিল, বাটারফ্লাই, সাপ, ঈগল, মাছ ইত্যাদি ধরনের ঘুড়ি উড়তে দেখা যায়।
তবে আধুনিক যুগে, তথ্য-প্রযুক্তির আগ্রাসনে ঐতিহ্যবাহী এই ঘুড়ি উৎসব হারিয়ে যেতে বসেছে। মোবাইল, কম্পিউটারসহ নানা আধুনিক ডিভাইসের কারণে আগের মতো ঘুড়ি উৎসব চোখে পড়ে না। তবে পুরান ঢাকা ও দেশের কিছু কিছু জায়গায় এখনো এই উৎসব কিছুটা উপলব্ধি করা যায়।
পুরান ঢাকার বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। তবে পুরান ঢাকায় সাকরাইন উৎসবে ঘুড়ি উড়ানো হয়। এজন্য চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন অনেকটা কমে গেছে।
ঢাকার শাঁখারী বাজারের ঘুড়ি ব্যবসায়ী বেলাল মিয়া বলেন, আগের মতো চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আর সেই জৌলুস নেই। মোবাইল, কম্পিউটারসহ আধুনিক সব ডিভাইসের দাপটে ঘুড়ি বিক্রি আগের মতো হয় না।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta