মিয়ানমারে ভূমিকম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত
মিয়ানমারে ভূমিকম্পের পর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আজ মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ধ্বংসপ্রাপ্ত ভবনে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছে বাংলাদেশ উদ্ধারকারী দল। এই দলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা অংশ নেন।
প্রাথমিক মূল্যায়নে জানা যায়, ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ভবনের অধিকাংশ কলাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু অংশ ধসে পড়েছে। বাংলাদেশ দল ভবনের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, কম্পিউটার এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম উদ্ধারে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রসঙ্গে, মিয়ানমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আগামীকালও উদ্ধারের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে।
বাংলাদেশের চিকিৎসা সহায়তা দল আজও নেপিডো শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা প্রদান অব্যাহত রেখেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভূমিকম্পে গুরুতর আহত এক শিশুর সফল অস্ত্রোপচার এবং উন্নত চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে, এছাড়া আরো পাঁচটি গুরুতর অপারেশনে অংশগ্রহণ করা হয়েছে।
আগামীকাল পুনরায় মিয়ানমারের স্থানীয় প্রশাসন ও অন্যান্য সংস্থার সাথে সমন্বয় করে উদ্ধার ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম চলতে থাকবে।
এটি স্মরণ রাখা দরকার যে, ২৮ মার্চ ২০২৫ তারিখে মিয়ানমারে সংঘটিত বিধ্বংসী ভূমিকম্পের পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে ১ এপ্রিল থেকে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ উদ্ধার ও চিকিৎসা সহায়তা দল নেপিডো শহরে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta