সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব উপলক্ষে সারাদেশে সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা এবং সহায়তা কার্যক্রম
বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান জুড়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহাঅষ্টমী, বাসন্তী পূজা ও পুণ্যস্নান উপলক্ষে ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো লাখো পুণ্যার্থীর অংশগ্রহণে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পূজামণ্ডপ, স্নানঘাট ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছে।
নারায়ণগঞ্জের লাঙ্গলবন্দে ব্রহ্মপুত্র নদে স্নানের লগ্ন শুরু হওয়ার পর থেকে উৎসবে মেতে ওঠে দেশ-বিদেশের লাখো পুণ্যার্থী। হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাঅষ্টমী পুণ্যস্নান উৎসব দুই দিনব্যাপী চলবে। আজ (৬ এপ্রিল) লাঙ্গলবন্দের ১৯টি ঘাটে লাখো পুণ্যার্থী এই পূণ্যস্নানে অংশগ্রহণ করবেন। ভারত, শ্রীলংকা, নেপালসহ বিভিন্ন দেশের হাজারো পুণ্যার্থী এতে অংশ নেবেন।
এছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদে অনুষ্ঠিত পবিত্র অষ্টমী স্নানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অংশগ্রহণ করছেন। এসব ধর্মীয় উৎসবের সময় সেনাবাহিনী বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সশস্ত্র টহল ও নজরদারি কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ট্রাফিক কন্ট্রোল পোস্ট ও চেকপোস্টের মাধ্যমে সেনাবাহিনী যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় সহায়তা প্রদান করছে।
দেশের বিভিন্ন পূজা মণ্ডপে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মহা অষ্টমী ও বাসন্তী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর, কক্সবাজারের রামু, টাঙ্গাইলের নাগরপুর, গারাইল ও ভুঞাপুর উপজেলায়, বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার শ্রী শ্রী বার্থী মন্দিরে, ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার কোনাবাড়ি ঠাকুরবাড়ি মন্দিরে, কুমিল্লা ও চাঁদপুরের বিভিন্ন মণ্ডপে এবং রায়ের বাজার দুর্গা মন্দিরে বিপুলসংখ্যক পুণ্যার্থী সমাগম ঘটেছে। সেনাবাহিনী প্রতিটি পূজা মণ্ডপ এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়িয়ে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করছে। এছাড়াও, সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পূজা কমিটি ও পুরোহিতদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা সবার মাঝে আস্থা সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ধর্মীয় সম্প্রীতি এবং জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দেশের ধর্মীয় উৎসবগুলোতে যথাযথ নিরাপত্তা প্রদান করেছে এবং ভবিষ্যতেও যেকোনো ধর্মীয় ও জাতীয় আয়োজনে সহযোগিতা করতে সদা প্রস্তুত থাকবে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta