নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর জন্য ইসিতে আবেদন এনসিপির

নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আবেদনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের দপ্তরে এ বিষয়ে একটি চিঠি হস্তান্তর করা হয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সংস্কার সমন্বয় কমিটির সমন্বয়ক, সিইসির একান্ত সচিব আশ্রাফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘নিবন্ধনের আবেদনের জন্য নির্ধারিত সময় সীমা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা মাথায় রেখে সময়সীমা ৯০ দিন বাড়ানো জরুরি।’

এছাড়া চিঠিতে নির্বাচন কমিশনের পূর্ববর্তী কার্যক্রম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, ‘বিগত সরকার এবং তাদের অনুগত নির্বাচন কমিশন দলীয় প্রতীকে বিতর্কিতভাবে তিনটি জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন পরিচালনা করেছে, যার কারণে নির্বাচন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে।’

এনসিপির দাবি, ‘ঐতিহাসিক জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার একটি নির্বাচন সংস্কার কমিশন গঠন করেছিল, তবে সে সুপারিশের বাস্তবায়ন হয়নি। এরই মধ্যে ১০ মার্চ কমিশন নতুন দল নিবন্ধনের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, যা ‘সংস্কার ছাড়াই ত্বরিত পদক্ষেপ’ হিসেবে সমালোচিত হয়েছে।’

চিঠিতে ২০০৮ সালের নিবন্ধন বিধিমালাকেও ‘অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক’ বলে চিহ্নিত করে বলা হয়, এটি রাজনৈতিক বহুত্ববাদকে সংকুচিত করে এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।

এনসিপি মনে করে, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কার্যালয় স্থাপনের কঠোর শর্ত শিথিল করা এবং পাঁচ বছরে একবার করে দলগুলোর নিবন্ধন নবায়নের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা উচিত, যা একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান হতে পারে।

চিঠির শেষাংশে বলা হয়, ‘নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, নতুন দল নিবন্ধনের মানদণ্ড যুগোপযোগী করা এবং কমিশনের কাঠামো পুনর্গঠন ছাড়া গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই নিবন্ধনের সময়সীমা ৯০ দিন বাড়িয়ে প্রক্রিয়াটি কার্যকর ও অংশগ্রহণমূলক করা প্রয়োজন।’