বিএনপির আক্রমণ, ফেসবুক লাইভে কাঁদলেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগে ফেসবুক লাইভে এসে বিবৃতি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক মেহেদী হাসান খান বাবু।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার শাহাপুর ফাঁড়িতে স্থানীয় গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা হওয়া দাবি করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে মেহেদী হাসান খান বাবু বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। শাহাপুর ক্যাম্পে পুলিশ ও এসআইয়ের সামনে আমাকে পিটিয়ে আহত করা হয়। যখন আমাকে মারছিল তখন আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যরা উপস্থিত ছিল। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বেই এই হামলা হয়।
কিছুক্ষণ পর একটি নতুন ফেসবুক লাইভে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘অনেকে আমাকে ফোন করছেন, কিন্তু আমি সেগুলো ধরতে পারছি না। আমি এখনো শাহাপুর ক্যাম্পেই আছি। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে আমার ওপর হামলা হয়েছে। যদি আমি মারা যাই, তবে যারা আমি নাম বলেছি তারা দোষী হবে। হামলায় গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজন বেশি জড়িত ছিল।’
এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বসেছিলাম এবং সেটি সমাধানও হয়েছে। বাবু ভাইদের দলিলপত্র সব ঠিক ছিল। যখন তারা চলে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কিছু মানুষ এসে তাকে চড় মারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পের আইসি মেহেদী বিষয়টি জীবননগর থানার ওসিকে জানিয়েছেন। আমি ফোর্স নিয়ে বাবুকে নিরাপদে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছি।’
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন বিশ্বাস বলেন, ক্যাম্পের আইসি বিষয়টি সমাধান করে বাবুকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta