চীনা পণ্যে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের উপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন তা আগামী তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলেও চীন এর বাইরে রয়ে গেছে। বরং, চীনের বিরুদ্ধে শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হয় বলে বুধবার ঘোষণা করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

তবে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের একটি নথিতে নতুন তথ্য পাওয়া যায়, যাতে দেখা যায়, চীনা পণ্যের উপর ট্রাম্পের শুল্ক আরও বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়েছে। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির মাধ্যমে এই তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

হোয়াইট হাউসের নথি অনুযায়ী, কয়েকটি দেশের উপর ৯০ দিনের জন্য পারস্পরিক শুল্ক আরোপের ঘোষণা কার্যকর হলেও চীনের শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে।

প্রথমে ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হলেও, হোয়াইট হাউসের নথি থেকে জানা যায়, চীনা পণ্যের মার্কিন আমদানির উপর আরও ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। ফলে চীনের উপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, ট্রাম্প যদি তার ‘‘অপমানজনক’’ শুল্ক নীতি চালিয়ে যান, তবে চীন ‘‘শেষ পর্যন্ত’’ প্রতিশোধ নেবে। ৯ এপ্রিল, চীন মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে।

মার্চে, ট্রাম্প প্রথমবার চীনের সমস্ত পণ্যের উপর ২০ শতাংশ রপ্তানি শুল্ক আরোপ করেছিলেন, পরে ২ এপ্রিল এই শুল্ক ৩৪ শতাংশে বৃদ্ধি করেছিলেন।

পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে, পরদিন চীন ৩৪ শতাংশ শুল্ক মার্কিন পণ্যের উপর আরোপ করে, যা ট্রাম্পকে ক্ষুব্ধ করে তোলে। ৭ এপ্রিল তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বার্তায় বলেন, যদি বেইজিং ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহার না করে, তবে চীনা পণ্যের উপর শুল্ক আরও ৫০ শতাংশ বাড়ানো হবে, এবং ৯ এপ্রিল থেকে তা কার্যকর হবে।

বেইজিং ট্রাম্পের হুমকিতে সাড়া না দেওয়ায়, ৯ এপ্রিল থেকে চীনা পণ্যের উপর কার্যকর হয়েছে শুল্ক বৃদ্ধি। এতে যুক্তরাষ্ট্রে চীনা পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ ১৪৫ শতাংশে পৌঁছেছে।

সূত্র: এএফপি, আরটি।