ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে
এবারের ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি থাকবে মোট নয় দিন। এই সময়ে ঢাকা নগরী প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়বে। দীর্ঘ সময় ধরে বাসাবাড়ি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকবে এবং বাড়ির আঙিনায় ময়লা-আবর্জনা জমে থাকবে। এছাড়া সিটি করপোরেশনের অধিকাংশ মশক কর্মীও ছুটিতে থাকবেন। এই সুযোগেই ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ২৮ মার্চ এবং শেষ হবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত, যা মোট নয় দিন। এই দীর্ঘ ছুটির সময়ে রাজধানী ঢাকা থেকে অধিকাংশ বাসিন্দা তাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবেন। কেউ শহর থেকে গ্রামে অথবা জেলার মধ্যে যাবেন। এতে ঢাকা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়বে এবং অধিকাংশ ভবন খালি থাকবে। কিন্তু যেহেতু এসব ভবনের আশপাশ বা ছাদবাগান নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না, ফলে মশার প্রজনন বেড়ে যেতে পারে। এই সময় বৃষ্টিপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে, যা বিভিন্ন বাড়ি, ছাদবাগান, নির্মাণাধীন ভবন, বেজমেন্ট এবং বস্তি এলাকায় পানি জমে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এসব জায়গায় জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গুর এডিস মশার সংখ্যা বাড়তে পারে। সাধারণত সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ১৩ জন মশক কর্মী দায়িত্ব পালন করেন এবং তারা নিয়মিত মনিটরিং করেন, তবে ঈদের ছুটিতে অধিকাংশ কর্মী ছুটিতে থাকবেন। শুধুমাত্র জোনভিত্তিক ইমার্জেন্সি টিম কাজ করবে, যেখানে প্রতি টিমে ১২ জন কর্মী থাকবে। মশার উৎপাত বেড়ে গেলে এই টিম কাজ করবে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীন বলেন, এবারের ঈদে অধিকাংশ মশক কর্মী ছুটিতে থাকবেন, তবে ইমার্জেন্সি টিম সক্রিয় থাকবে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta