প্রধান উপদেষ্টার সাথে বান কি মুনের সাক্ষাৎ
মেহেরপুর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান মেহেরপুর জেলা যুবদলকে বিভক্ত করার জন্য কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ ইমরান কর্তৃক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির ছবি ব্যবহার করে পদ-পদবী লাভের প্রলোভন দেখানো এবং নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন যে, বিগত ৭ বছর ধরে তিনি মেহেরপুর জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক পদে রয়েছেন এবং ১৭ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন। দলের জন্য নির্যাতন-অত্যাচার সহ্য করে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, ২৪ মার্চ রাতে তার ফেসবুক আইডি থেকে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের মাধ্যমে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি পোস্ট করেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, মেহেরপুর জেলা যুবদলে কিছু দায়িত্বশীল এবং অতিউৎসাহী ব্যক্তি যুবদলকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রিন্স আহমেদ ইমরান, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির ছবি ব্যবহার করে পদ-পদবী পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবদলকে ভাঙতে চাচ্ছেন। জেলা বিএনপির নেতাদের অবজ্ঞা করে তার নিজস্ব স্বার্থ চরিতার্থ করতে চান।
মেহেরপুর জেলা যুবদল তার কারণে আজ বিভক্ত। তিনি দাবি করেন, প্রিন্স আহমেদ ইমরান তার ক্ষমতা প্রয়োগ করে জেলা যুবদলের ইউনিট কমিটি ঠিক করে দেয় এবং যারা তার আদেশ মানবে না তারা যুবদলের কমিটিতে থাকতে পারবে না। বর্তমানে জেলা যুবদলের সুবিধাবাদী কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে ছবি তুলে রাজনীতি করছেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ওই পোস্টের কারণে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউসার সভাপতি ছাড়াই কারো প্ররোচনায় বা স্বার্থে নোটিশ দেন। তবে, তিনি নোটিশ দেওয়ার জন্য যথাযথ চিঠি ব্যবহার না করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রকাশ করেন, যা সাংগঠনিক আইন লঙ্ঘন। তিনি দাবি করেন যে সাবেক নেতার কার্যক্রম, চলাফেরা ও আয়ের উৎস তদন্ত করে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta