প্রধান বিচারপতি হলেন অক্সফোর্ডের অনারারি ফেলো।
আইন, ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে আজীবন ‘অনারারি ফেলোশিপ’ প্রদান করেছে যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
এ তথ্য আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি সম্পন্ন করার পর সৈয়দ রেফাত আহমেদ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াধাম কলেজ থেকে আইনশাস্ত্রে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। বুধবার এই কলেজ থেকে প্রধান বিচারপতির ই-মেইলে চিঠি পাঠিয়ে তাঁকে এই সম্মাননার বিষয়ে অবহিত করা হয়।
চিঠিটি পাঠিয়েছেন ওয়াধাম কলেজের ওয়ার্ডেন রবার্ট হ্যানিং। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘প্রিয় প্রধান বিচারপতি, অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, ওয়াধাম কলেজের গভর্নিং বডি আপনাকে অনারারি ফেলোশিপের জন্য নির্বাচিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমি আশা করি, আপনি এই সম্মান গ্রহণ করবেন।’
এই ফেলোশিপটি আজীবন সময়ের জন্য দেওয়া হয়েছে এবং সৈয়দ রেফাত আহমেদকে একজন ফেলো হিসেবে যা যা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে, তা চিঠিতে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করেছেন রবার্ট হ্যানিং।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘এই ফেলোশিপের মাধ্যমে ওয়াধাম কলেজ আপনার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে সম্মানিত বোধ করে এবং আপনার অসামান্য অর্জনগুলোর জন্য এটি স্বীকৃতি প্রদান করতে চায়। আমি আশা করি আপনি কলেজের অনারারি ফেলো হওয়ার আমন্ত্রণ গ্রহণ করবেন এবং ভবিষ্যতে ওয়াধামের নানা অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাতে পারব।’
জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সৈয়দ রেফাত আহমেদ রাষ্ট্রপতির দ্বারা দেশের ২৫তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিচার বিভাগ সংস্কারের জন্য একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করেন। এর মধ্যে কিছু পদক্ষেপ ইতোমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। স্বতন্ত্র সচিবালয় প্রতিষ্ঠা তাঁর ঘোষিত রোডম্যাপের অন্যতম লক্ষ্য।
সৈয়দ রেফাত আহমেদের ‘অনারারি ফেলোশিপ’ প্রাপ্তির বিষয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এটি বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচার বিভাগের জন্য এক বিরল এবং গৌরবজনক মুহূর্ত। এই আন্তর্জাতিক সম্মাননা শুধু প্রধান বিচারপতির ব্যক্তিগত সাফল্যের প্রতীক নয়, বরং এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের প্রতি বৈশ্বিক পর্যায়ে প্রদত্ত সম্মান ও মর্যাদার প্রতিফলন। নিঃসন্দেহে, এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের উৎকৃষ্টতা, বুদ্ধিবৃত্তিক শক্তি এবং ন্যায়বিচারের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির চিহ্ন।’
এই সম্মাননা প্রাপ্তির মাধ্যমে বিচার বিভাগের প্রধান তাঁর জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক অবদানের জন্য গর্বিত বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta