ছিনতাইয়ের ঘটনা: সালিশের মাধ্যমে আসামি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া
নবীগঞ্জে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনার পর শেষমেশ সালিশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ গতকাল যুবদল নেতাসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
সিলেট মহানগর জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল ও হবিগঞ্জ-১ আসনের জামাত মনোনীত প্রার্থী মো. শাহজাহান আলী এবং স্থানীয় বিএনপি নেতারা এ ঘটনাটি সালিশের মাধ্যমে সমাধান করেন। পরে খবর পাওয়ার পর নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে।
লিখিত বক্তব্যে জানা যায়, ২২ মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজারে এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পুলিশ গাড়ি পুড়ানোর বিস্ফোরক মামলার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর পুলিশ গ্রেফতারের পর আসামি দিলশাদ মেম্বারকে আত্মীয়রা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর নবীগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়।
রায়পুর গ্রামে এই ঘটনায় চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে, সিলেট মহানগর জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল মো. শাহজাহান আলী, নবীগঞ্জ উপজেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম, আউশকান্দি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ এবাদুর রহমান এবং নবীগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রোমান আহমদ এক সালিশ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রায়পুর গ্রামে অনুষ্ঠিত সালিশি সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম আসামিদের নবীগঞ্জ থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পরে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায়।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা জামাতের সাবেক সেক্রেটারি আশরাফুল ইসলাম বলেন, আসামি পুলিশের কাছে হস্তান্তরের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেছেন।
সিলেট মহানগর জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল মো. শাহজাহান আলী জানান, সালিশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে হবিগঞ্জ জেলহাজতে পাঠায়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, তারা গাজিরটেক এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করেছেন এবং স্থানীয় বিএনপি জামাত নেতারা এতে সহায়তা করেছেন।
প্রকাশিত: | By Symul Kabir Pranta