সর্বশেষ :
চাকরি বাজার

মাগুরায় ৮ বছর বয়সী শিশুর ওপর নির্যাতনের ঘটনায় ৭ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ আশ্বাস দেন। আইন উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির ময়নাতদন্ত আজ সম্পন্ন হবে এবং ইতোমধ্যে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এই ঘটনায় ১২ থেকে ১৩ জন ১৬১ ধারায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।তিনি আরো বলেন, ধর্ষণ ও বলাৎকারের মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য বিশেষ ট্রাইবুনাল গঠন করা হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সংশোধনী আনার জন্য আগামী রোববারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির প্রচেষ্টা চালানো হবে। এ সময় দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হলে সরকার কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আসিফ নজরুল।এদিকে, মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি আজ (১৩ মার্চ) বৃহস্পতিবার ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) মারা যান।আইএসপিআর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানানো হচ্ছে যে, মাগুরার নির্যাতিত শিশুটি দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার পরও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির সকালে তিনবার হার্ট অ্যাটাক হয়, যার মধ্যে দুইবার তার অবস্থা স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বারে আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।৮ বছর বয়সী শিশুটি ৫ মার্চ বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হন। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, কিন্তু অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৬ মার্চ রাতে। ৭ মার্চ তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়। শিশুটির চিকিৎসার জন্য সিএমএইচে আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়, যার নেতৃত্ব দেন প্রধান সার্জন। বাঁধন/সিইচা/সাএ
২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালানোর পরিকল্পনাকারী ওবায়দুল কাদেরের বর্তমান অবস্থান নিয়ে চলছিল নানা ধরনের আলোচনা। ঠিক তখনই তার ব্যবহৃত সিমের লোকেশন ও কললিস্ট ট্র্যাক করা হলে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।ক্ষমতার সময় বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত এই নেতার সাথে বিভিন্ন নায়িকা ও মডেলের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রায়ই ভাইরাল হয়ে যেত। অনেক নায়িকার সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে প্রচুর গুঞ্জন ছিল, যদিও এসব নিয়ে কখনও কেউ প্রকাশ্যে কথা বলত না।কিন্তু ক্ষমতা হারানোর পর থেকেই একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ পাচ্ছে সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রীর সম্পর্কে। সর্বশেষ ৫ আগস্ট, দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরের ফোনের লোকেশন ছিল মোহাম্মদপুর।এখন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত তার কললিস্টে দেখা গেছে, ৫ আগস্টের আগে এবং পরে তিনি অসংখ্য ফোন করেছেন। সেই কললিস্টে একাধিক নায়িকা ও মডেল অভিনেত্রীর নাম উঠে এসেছে। কললিস্টে নাম রয়েছে নায়িকা কেয়া, মিস বাংলাদেশ ফারজানা, অ্যানজেনা এলিন সহ মডেল নায়িকাদের। একই সাথে ময়মনসিংহের নেত্রী কবিতার সাথেও যোগাযোগ ছিল।ওবায়দুল কাদেরের ৫ আগস্টের কললিস্ট সহ আগের ও পরবর্তী সময়ের সিডিআর কপি আংশিকভাবে প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর। তবে সিডিআর কপি প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক মুনওয়ার আলম নির্ঝর।জাওয়াদ নির্ঝর ফেসবুকে এক পোস্টে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘এতো নম্বর যাচাই করতে সময় লাগছে। এগুলো যাচাইয়ের কাজ চলছে। মুনওয়ার আলম এসব যাচাই করছে।’তিনি আরও বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের কললিস্ট দেখে মনে হয়েছে, ফোনে সে খুব কম কথা বলতো। তবে তার কললিস্টে নায়িকা মডেল অভিনেত্রীদের নাম কেন? তারা কি রাজনীতি শিখছিলেন ওবায়দুল কাদেরের কাছে??’এছাড়া, দেশে ওবায়দুল কাদেরের অবস্থান নিয়ে একাধিকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর ছড়িয়েছে। কোথাও কোথাও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও অভিযান চালিয়েছে, তবে তার কোন খোঁজ মেলেনি। গুঞ্জন রয়েছে যে, তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন এবং ভারতে আছেন।সম্প্রতি তার ব্যবহৃত সিমের লোকেশন ও কললিস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে কললিস্টের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। ভাইরাল তালিকায় দেখা যায়, ৫ আগস্ট দুপুর ২টা ৪২ মিনিটে তার ফোনের লোকেশন ছিল মোহাম্মদপুর।তথ্য অনুযায়ী, মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোড ৪৭(২/৬) থেকে তার সর্বশেষ অবস্থান পাওয়া যায়। ওই তালিকায় আরও দেখা গেছে, তিনি মোবাইলে খুব কম কথা বলতেন এবং দলীয় কার্যালয় বা নিজের বাসা ছাড়া তার কল লোকেশন কোথাও পাওয়া যায়নি। রার/সা.এ
চলতি বছরের পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব সরকার আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। এই বয়সসীমা হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্ম তারিখ অনুযায়ী গণনা করা হবে। বুধবার (১২ মার্চ) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের হজে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পন্থায় নিবন্ধিত হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) সনের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। এই বয়স পাসপোর্টের জন্ম তারিখ থেকে গণনা হবে।এছাড়া, ১৫ বছর বয়সী নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিশু হজযাত্রীর সঙ্গে যাওয়া অভিভাবক হজযাত্রীকে পরিবর্তন করে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী হিসাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। সালাউদ্দিন/সাএ
চলতি বছরের পবিত্র হজ পালনের জন্য সৌদি আরব সরকার আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। এই বয়সসীমা হজযাত্রীর পাসপোর্টের জন্ম তারিখ অনুযায়ী গণনা করা হবে। বুধবার (১২ মার্চ) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই তথ্য জানায়।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের হজে সরকারি এবং বেসরকারি উভয় পন্থায় নিবন্ধিত হজযাত্রী, হজ এজেন্সি এবং হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানানো হয়েছে যে, সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় শিশুদের নিরাপত্তা এবং সুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ২০২৫ (১৪৪৬ হিজরি) সনের হজ মৌসুমে পবিত্র হজ পালনে আগ্রহীদের সর্বনিম্ন বয়স ১৫ বছর নির্ধারণ করেছে। এই বয়স পাসপোর্টের জন্ম তারিখ থেকে গণনা হবে।এছাড়া, ১৫ বছর বয়সী নিবন্ধিত শিশু হজযাত্রী এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শিশু হজযাত্রীর সঙ্গে যাওয়া অভিভাবক হজযাত্রীকে পরিবর্তন করে প্রাক-নিবন্ধিত হজযাত্রী হিসাবে প্রতিস্থাপন করা যাবে। সালাউদ্দিন/সাএ
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের সাথে অশোভন আচরণের অভিযোগে রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি শাওন কাবী রিজার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যায় ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের জোড়কর এলাকায় চাঁদপুর-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি দুর্ঘটনা ঘটে। এসটিভি ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভিডিও সাংবাদিক নুরে আলমের প্রাইভেটকারকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি কাভার্ডভ্যান চাপ দেয়। এতে পেছন থেকে দ্রুতগতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। পরে মোটরসাইকেল চালক ও প্রাইভেটকার চালক গৃহকালিন্দিয়া স্কয়ার হাসপাতালের সামনে গিয়ে কাভার্ডভ্যান চালকের গতিরোধ করেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ৫-৬ জন ব্যক্তি তাদের মারধর এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ভুক্তভোগীরা ফরিদগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের পর ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম ঘটনাস্থলে এসআই খোকন চন্দ্র দাশকে পাঠান। তদন্তের সময় ইউনিয়ন ছাত্রদল সভাপতি শাওন কাবী রিজা পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার পর জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শাওন কাবী রিজাকে ছাত্রদলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে এবং দলীয় নেতাকর্মীদের তার সাথে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ আলম জানান, "অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশের সাথে অশোভন আচরণ এবং সাংবাদিক নুরে আলমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাওন কাবীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।" ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এটি ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করে। রাজনৈতিক এবং সামাজিক অঙ্গনে নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে শাওন কাবী রিজার পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ইএইচ
৩৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে স্বামীর এমন বিদায় এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না তার স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি।নিজের ফেসবুক পেজে গত রাতে একটি পোস্টের মাধ্যমে ১৮ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবনের অবসান ঘোষণা করেন মাহমুদউল্লাহ। অবসরের পর স্বামীকে নিয়ে আবেগঘন একটি বার্তা দিয়েছেন মিষ্টি। স্মৃতিচারণ করে তিনি লেখেন, ‘সব কিছুই শেষ হয়ে যায়, কিন্তু বাংলাদেশের লাল-সবুজ জার্সিতে তোমাকে আর কখনো দেখতে পাবো, এটা বিশ্বাস করাটাই কঠিন।’২০০৭ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশের জার্সিতে ৪৩০ ম্যাচ খেলা মাহমুদউল্লাহ ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চারটি সেঞ্চুরির মধ্যে চারটি আইসিসি ইভেন্টে করেছেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অ্যাডিলেডে প্রথম সেঞ্চুরি করেন। একই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টনে আরেকটি সেঞ্চুরি করেন। সেঞ্চুরি উদযাপন করে গ্যালারিতে চুমু ছুড়ে দেওয়ার সেই মুহূর্ত স্মরণ করে মিষ্টি লিখেছেন, ‘২০০৭ থেকে ২০২৫—অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। বিশ্বকাপে সেঞ্চুরি উদযাপন আমার জীবনের অমূল্য উপহার।’মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার অনেক উত্থান-পতন দেখেছে। অফফর্মের কারণে দীর্ঘ সময় তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাদ পড়েন। তবে প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছেন। ২০১৮ নিদাহাস ট্রফিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তার ১৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসের কারণে বাংলাদেশ ফাইনালে ওঠে।মাহমুদউল্লাহর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অর্জন নিয়ে তার স্ত্রী মিষ্টি বলেন, ‘১৭ বছর তোমার উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিলাম, আলহামদুলিল্লাহ এখনও আছি। তুমি আমার প্রিয় ক্রিকেটার, আমার নায়ক এবং আজীবন সেটাই থাকবে। মাশাআল্লাহ তুমি দেশের জন্য যা কিছু করেছ, তাতে আমি গর্বিত। দেশের মানুষের কাছ থেকে যে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছ, তাতে আমরা অনেক খুশি। এমআর থ্রিশের ভক্তদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’৫০ টেস্ট, ২৩৯ ওয়ানডে ও ১৪১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ৪৩০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ করেছেন ১১০৪৭ রান, গড় ৩১.৮৩। ৯ সেঞ্চুরি এবং ৫৬ ফিফটি রয়েছে তার নামের পাশে, যার মধ্যে টেস্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি রয়েছে। ৫০ টেস্টে তার রান ২৯১৪। রার/সা.এ
বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন প্রভাবশালী খেলোয়াড় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিদায় নিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। মাঠে ফেরার আগেই ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে তিনি তার এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। ‘সাইলেন্ট কিলার’ এবং তাওহিদ হৃদয়ের বন্ধু মহলের মতো পরিচিত ‘পেইন কিলার’ হিসেবে খ্যাতি পাওয়া রিয়াদের এই হঠাৎ সিদ্ধান্তে ক্রিকেট বিশ্বে একটি শুন্যতা তৈরি হয়েছে। তার বিদায়ের পর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সতীর্থরা, কোচ এবং ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।জাতীয় দলের তরুণ ক্রিকেটার তাওহিদ হৃদয় মাহমুদউল্লাহকে ‘পেইন-কিলার’ বলার মাধ্যমে লিখেছেন, ‘শিশুকালে টিভির সামনে বসে যেসব অসাধারণ মুহূর্ত দেখেছি, তার জন্য ধন্যবাদ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ভাই। সবাই আপনাকে সাইলেন্ট কিলার বললেও, আমাদের বন্ধু মহলে আপনার নাম ছিল ‘পেইন-কিলার’। এমন অনেক ম্যাচ রয়েছে, যেগুলোর শেষ মুহূর্তের শান্তি আপনি আমাদের উপহার দিয়েছেন। অবসর জীবনের জন্য শুভকামনা।’সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা তার দীর্ঘ পোস্টে লিখেছেন, ‘একটি অসাধারণ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন, রিয়াদ। তোর নামের পাশে থাকা সংখ্যাগুলো ছাড়িয়ে তুই আমাদের কাছে আরও বড়। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান তুই, এই অর্জন কখনো কেড়ে নেওয়া সম্ভব নয়।’সাকিব আল হাসান মাহমুদউল্লাহকে শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, ‘রিয়াদ ভাই, আপনার সঙ্গে খেলা এবং আপনার কাছ থেকে শেখা আমার জন্য বড় সৌভাগ্য। খেলার প্রতি আপনার নিষ্ঠা, স্থিতিশীলতা এবং ভালোবাসার জন্য জাতি আপনাকে ঋণী।’আরেক সতীর্থ তামিম ইকবাল লিখেছেন, ‘আপনার বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করার জন্য অভিনন্দন রিয়াদ ভাই। আপনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের মূল শক্তি এবং আমাদের অনুপ্রেরণা। আপনার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার মুহূর্তগুলো চিরকাল মনে থাকবে।’সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার মনে করেন, রিয়াদের মাঠ থেকে বিদায় নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘মাঠ থেকে বিদায় নিলে সত্যিই ভাল হতো, কারণ সেটাই তার প্রাপ্য ছিল। বাংলাদেশ দলের জন্য তার অবদান অস্বীকার্য।’বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাক্তন কোচ জেমি সিডন্স বলেন, ‘আমি শুধু রিয়াদকে অভিনন্দন জানাতে চাই। সে সবসময় মিডল অর্ডারে একটি শক্তিশালী স্তম্ভ ছিল। তার স্কিল নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের হয়ে তার অসংখ্য গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস রয়েছে।’বন্ধুর বিদায়ে আবেগময় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরাফাত সানি বলেন, ‘আমরা অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে একসঙ্গে খেলেছি। রিয়াদ অনেক আগেই জাতীয় দলে জায়গা পেয়েছিল, তবে বন্ধুত্বের সম্পর্ক সবসময় অটুট ছিল। সে বাংলাদেশ দলকে অনেক কিছু দিয়েছে, তার জন্য শুভকামনা।’বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার অসংখ্য ম্যাচ জেতানো ইনিংসের জন্য অমর হয়ে থাকবেন। তার এই নীরব বিদায় ভক্তদের কষ্ট দিলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেট তার অবদান কখনো ভুলবে না। সাইলেন্ট কিলার ও পেইন কিলারের অধ্যায় শেষ হয়েছে, তবে তার রেখে যাওয়া স্মৃতি চিরকাল থাকবে।বিডি প্রতিদিন/আশিক
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) গত সোমবার চলতি বছরের কেন্দ্রীয় চুক্তি পাওয়া ২২ ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই চুক্তি কার্যকর থাকবে। তবে ফেব্রুয়ারির পর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বিসিবিকে জানিয়ে দেন যে, তিনি কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নিজের নাম সরিয়ে নিতে চান। সম্প্রতি শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিদায়ের পর মাহমুদুল্লাহর অবসর নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি খুব শীঘ্রই তার অবসর সম্পর্কে ঘোষণা দেবেন। ইতিমধ্যেই টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে তিনি অবসর নিয়েছেন, এখন কেবল ওয়ানডে বাকি রয়েছে। আজ (বুধবার) নারী ডিপিএল পুরস্কার বিতরণের পর গণমাধ্যমের সাথে কথা বলেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদিন ফাহিম। সেখানে মাহমুদুল্লাহর কেন্দ্রীয় চুক্তিতে না থাকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। নাজমুল আবেদিন ফাহিম জানান, ‘যেহেতু মাহমুদুল্লাহ সেন্ট্রাল কন্ট্রাক্ট থেকে না থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, সেটা থেকে মনে হয় তিনি তার অবসর নিয়ে ভাবছেন। আমার মতে, একবার তার চিন্তাভাবনা পরিষ্কার হলে আমরা এই বিষয়ে আলোচনা করতে পারব এবং আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু পরিকল্পনা প্রকাশ করতে পারব।’ সম্প্রতি মুশফিকুর রহিম ওয়ানডে থেকে অবসর নিয়েছেন। তাকে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছিল, কারণ তার নাম টেস্ট ও ওয়ানডে খেলবেন এমন ভিত্তিতে প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি ওয়ানডে থেকে অবসর নেয়ার পর, মুশফিক এখন কেবল টেস্ট ক্রিকেট খেলবেন। তাই ১ মার্চ থেকে তিনি ‘বি’ ক্যাটাগরিতে নামবেন। এবারের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সর্বোচ্চ ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে কেবল তাসকিন আহমেদ, যার মাসিক বেতন ১০ লাখ টাকা। বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ
ফেব্রুয়ারি মাসের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার শুভমান গিল। আজ বুধবার পুরুষ বিভাগে তার নাম ঘোষণা করেছে আইসিসি। নারী বিভাগে এই পুরস্কার পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালানা কিং। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য গিল এই পুরস্কার অর্জন করেছেন। এটি গিলের তৃতীয়বারের মতো আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া। এবার তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস এবং অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার স্টিভ স্মিথ। ফেব্রুয়ারি মাসে গিল ১০১.৫০ গড়ে মোট ৪০৬ রান করেছেন। এর মধ্যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে তার স্কোর ছিল যথাক্রমে ৮৭, ৬০ এবং ১১২। এরপর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যান ২৫ বছর বয়সী এই তারকা। গিল বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসের আইসিসি পুরুষদের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আমি খুব খুশি। ব্যাট হাতে সাফল্য অর্জন এবং দেশের হয়ে ম্যাচ জেতানোর থেকে বড় অনুপ্রেরণা আর কিছুই আমাকে দিতে পারে না।’ ভারতীয় ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫ এ ফর্ম ধরে রাখা আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে আমি আনন্দিত যে আমি সর্বোচ্চ সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছি। এটি ব্যক্তিগত এবং দলগতভাবে বছরের অসাধারণ একটি সূচনা। আমি একদিকে স্বপ্ন দেখি এবং অন্যদিকে সামনের অ্যাকশন-প্যাকড ক্রিকেট বছরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, যাতে ভারতকে আরও অনেক ম্যাচে জয়ী করতে পারি।’ আরএস
নতুন নিয়মে শুরু হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স লিগ নিয়ে অনেকেরই ছিল সন্দেহ, তবে এখন পর্যন্ত এই লিগ ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেনি। বরং লিগের প্রথম থেকেই একের পর এক উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছে। রাউন্ড অব সিক্সটিনে দুটি ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়িয়েছে, যার ফলে স্বাগতিক দলের বিদায় হয়েছে। লিভারপুল এবং অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ নিজেদের মাঠে টাইব্রেকারে হেরে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়েছে।এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেরা আট দলের মধ্যে চারটি দল ইতোমধ্যে বিদায় নিয়েছে। লিভারপুল, অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ, বায়ার লেভারকুজেন এবং লিল রাউন্ড অব সিক্সটিন থেকেই বিদায় নিয়েছে। এই তালিকার পাশাপাশি নিশ্চিত হয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া দলগুলো, এবং এখানে তিনটি ম্যাচ দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। গত আসরের রানার্সআপ বরুশিয়া ডর্টমুন্ড খেলবে বার্সেলোনার বিপক্ষে। অন্যদিকে, বায়ার্ন মিউনিখের প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ খেলবে ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের বিপক্ষে। আরেক ম্যাচে পিএসজি মুখোমুখি হবে অ্যাস্টন ভিলার সাথে।বায়ার্ন ও ইন্টার এবং আর্সেনাল ও রিয়াল মাদ্রিদের ম্যাচ নিয়ে বাড়তি উত্তেজনা রয়েছে। ২০০৯-১০ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার এবং বায়ার্ন মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ইন্টার ২-০ গোলে বায়ার্নকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল।রিয়াল এবং আর্সেনালের মধ্যে পুরানো ইতিহাসও রয়েছে। ২০০৫-০৬ মৌসুমে শেষ ষোলোতে রিয়ালকে বিদায় দিয়েছিল আর্সেনাল। বার্সেলোনা এবং বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের ম্যাচে অনেকেই বার্সেলোনাকে কিছুটা এগিয়ে রাখছেন। আরেক ম্যাচে পিএসজির বিপক্ষে খেলবে অ্যাস্টন ভিলা। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগ হবে ৮ ও ৯ এপ্রিল, ফিরতি লেগ হবে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল।কোয়ার্টার ফাইনালের লাইনআপ:--বার্সেলোনা-বরুশিয়া ডর্টমুন্ডবায়ার্ন মিউনিখ-ইন্টার মিলানপিএসজি-অ্যাস্টন ভিলাআর্সেনাল-রিয়াল মাদ্রিদ সালাউদ্দিন/সাএ
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এর আগে তিনি টেস্ট ও আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। এবার তিনি ওয়ানডে থেকেও সরে দাঁড়ালেন। এর ফলে বাংলাদেশ দলের জার্সিতে আর তাকে মাঠে দেখা যাবে না। আজ রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালেন। মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, ‘সবকিছু মহান আল্লাহর ইচ্ছায়। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষত আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই যারা আমাকে সব সময় সমর্থন করেছেন।’ আরএস
জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিনের মরদেহ ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়।১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগরের কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।তবে ৭ মাস পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়টি তানজিন তিশা মোটেও সহ্য করতে পারছেন না। পুরো ঘটনায় শহীদ আল আমিনের জন্য তার মন ভেঙে গেছে।এক ফেসবুক পোস্টে তিশা লিখেছেন, "আল আমিন শুধু সহকারী ছিল না, সে আমার ভাই ছিল। সে আমার সাথে পাঁচ বছর কাটিয়েছিল, নিষ্পাপ ছিল, এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে শহীদ হয়েছে। সাত মাস পর তার মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের বিষয়টি আমি কোনোভাবেই সমর্থন করছি না।"এ বিষয়ে প্রশ্ন তুলে অভিনেত্রী লিখেছেন, "এই কাজের ফলে কী লাভ হবে? শুধুমাত্র তার আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। পুরো ঘটনা জানার পর, আমার জন্য এটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্টকর। এই কাজের পেছনে যারা রয়েছে, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, তা নিয়ে আমি অত্যন্ত হতবাক। ভাইয়া, তুই ভালো থাকিস।"জানা গেছে, আল আমিন তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন এবং ঢাকায় বসবাস করতেন। জুলাই মাসের অভ্যুত্থানে তার মৃত্যু হয় এবং ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ সালে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার পর ১০ মার্চ ময়নাতদন্তের জন্য, তার বাবার সম্মতিতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়।মরদেহ উত্তোলনকালে শ্রীনগর উপজেলার সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ড. মুহাম্মদ ইব্রাহীম উপস্থিত ছিলেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীন মাহমুদ জানান, সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়েছে এবং বর্তমানে তা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রার/সা.এ
দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়। তিনি শোবিজ থেকে বিদায় নিয়ে রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে তিনি ‘তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম’ (টিভিকে) নামের একটি রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করেছেন। গত শুক্রবার (৭ মার্চ) চেন্নাইয়ে তাঁর দলের পক্ষ থেকে রমজান উপলক্ষে একটি বড় ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়। এতে প্রায় ৩,০০০ মানুষকে ইফতার করার সুযোগ দেওয়া হয় এবং ১৫টি স্থানীয় মসজিদের ইমামদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিজয় ইসলামি পোশাকে সাদা পোশাক ও টুপি পরিধান করে উপস্থিত হন। তাঁকে মোনাজাতেও অংশ নিতে দেখা যায়। তার এই ছবি ও ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। এটি দেখে ভারতীয় কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, থালাপতি বিজয় রোজা রেখেছিলেন এবং ইফতার করে নামাজে অংশ নেন। এসব দেখে গুজব ছড়িয়েছে যে, থালাপতি বিজয় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। তবে রিউমর স্ক্যানার অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই দাবি মিথ্যা। সোশ্যাল মিডিয়া ও অন্যান্য মাধ্যমে ছড়ানো সব খবর অবাস্তব এবং ভিত্তিহীন। কোনও বিশ্বস্ত সূত্র এই দাবিকে সমর্থন করেনি। ভারতের ফ্রি প্রেস জার্নাল, এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনাল (এএনআই)সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ইফতার পার্টি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও, থালাপতি বিজয়ের ধর্ম পরিবর্তনের বিষয়ে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। অনেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেছেন, দাবি করে যে বিজয় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে রমজানকে টার্গেট করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, থালাপতি বিজয় ২০২৬ সালের তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট না করে এককভাবে নির্বাচন করতে চান। আরএস
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাঠী এলাকায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি কৃষকের ফসলি জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে মাছের ঘের তৈরি করছে। জমি দিতে না চাইলে ওই কৃষকদের মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে এই দখল ঘটানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্থানীয় ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, ডামুড্যা উপজেলার ধানোকাঠী ইউনিয়নের বেতমোড়া বাজারের আশপাশে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য রবি শস্য চাষ করছেন। সম্প্রতি, জাকির খান, ফারুক খান, বালু করিমসহ তাদের সহযোগীরা প্রায় ১০ একর জমি দখল করে সেখানে মাছের ঘের তৈরি শুরু করেন। এক্সাভেটর দিয়ে জমির খনন শুরু করলে কৃষকরা বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্তরা তাদের মারধর ও হুমকি দেন। এছাড়া একই পদ্ধতিতে উপজেলার আরও পাঁচটি এলাকায় কৃষি জমি দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। বালাকান্দি, মোল্লাকান্দি, ধানোকাঠী বাজার, নতুন বাজার ও চর ধানোকাঠীসহ বিভিন্ন এলাকায় এই দখলের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কৃষকরা। ভুক্তভোগী কৃষক আবুল কাশেম বলেন, "আমার এক কানি জমি ঘেরের প্রকল্পের মধ্যে পড়ে, যা আমি কষ্ট করে ধান চাষ করেছি। কিন্তু এখন জমি দখল করে মাটি কেটে নষ্ট করা হচ্ছে। আমি চাই আমার জমি আগের অবস্থায় ফিরে আসুক, মাছের ঘের এখানে হতে দিচ্ছি না।" রফিক বেপারী বলেন, "আমাদের জমি জোর করে দখল করে মাছের ঘের তৈরি করা হচ্ছে। আমরা পুলিশ, ওসি, ডিসির কাছে গিয়েছি, কিন্তু আমাদের সাহায্য করা হয়নি। প্রশাসনই এই দখলকে প্রশ্রয় দিয়েছে। আমরা আমাদের জমি ফেরত চাই।" এ বিষয়ে অভিযুক্ত জাকির খান ও বালু করিম বলেন, "আমরা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে কাজ করছি। ওসি ও এসিল্যান্ড ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলুন।প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন বলেন, "বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফসলি জমি দখল ও কৃষকদের হয়রানি কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না।" ভুক্তভোগী কৃষকরা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছেন এবং দখলকৃত জমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। ইএইচ
বাংলাদেশের খ্যাতিমান অভিনেত্রী রুনা খানের বাবা ফরহাদ হোসেন পরলোকগমন করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে তার মৃত্যু হয়।সোমবার (১০ মার্চ) সকালে রুনা খান নিজে এই শোকসংবাদ নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, "আমার আব্বু চলে গেলেন..! তার আত্মার শান্তি কামনা করি।"রুনা খানের বাবা একজন সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। তিনি টাংগাইল জেলার মির্জাপুরের মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেখানে তার দাফন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।এদিকে, রুনা খানের বাবার মৃত্যুর খবরে সহকর্মী এবং ভক্তরা শোক প্রকাশ করেছেন। অভিনেত্রী তিন্নি তার শোকবার্তায় লিখেছেন, "আঙ্কেলের আত্মা শান্তিতে থাকুক।" অভিনেত্রী শ্রাবন্তীও শোক প্রকাশ করেছেন।এছাড়া, রুনা খানের ভক্তরা তার বাবার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। সালাউদ্দিন/সাএ
শক্তি বজায় রাখা অনেক সময় কঠিন হতে পারে, কারণ আমরা যেসব খাবার গ্রহণ করি, সেগুলোর মাধ্যমেই শরীর শক্তি ও পুষ্টি পায়। কিন্তু ভুল খাদ্য নির্বাচন অনেক সময় শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে, যার কারণে শক্তির অভাব হয়। তবে এমন কিছু খাবার আছে, যেগুলি নিয়মিত খেলে প্রাকৃতিকভাবে শক্তি বৃদ্ধি পেতে সাহায্য করে। এগুলি জানুন- ১. চিয়া বীজ ছোট হলেও শক্তিশালী, চিয়া বীজ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং প্রোটিনে পরিপূর্ণ। এই উপাদানগুলো রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং টেকসই শক্তি সরবরাহ করে। চিয়া বীজ তরল শোষণ করে জেলি তৈরি করে, যা আপনাকে দীর্ঘ সময় ধরে হাইড্রেটেড এবং পূর্ণ রাখে। শক্তি বাড়ানোর জন্য এটি স্মুদি, দই বা রাতের ওটসে ব্যবহার করতে পারেন। ২. কুইনোয়া কুইনোয়াকে ‘সুপার গ্রেইন’ বলা হয়। এটি একটি বীজ এবং প্রোটিনের পূর্ণ উৎস। এতে নয়টি অপরিহার্য অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে সাহায্য করে। কুইনোয়ার জটিল কার্বোহাইড্রেট ধীরে ধীরে শক্তি প্রদান করে, যা একটি ভালো নাস্তা হতে পারে। ৩. মিষ্টি আলু জটিল কার্বোহাইড্রেট এবং ফাইবারে সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু শক্তির এক ভালো উৎস। এতে ভিটামিন এ এবং পটাসিয়াম রয়েছে, যা পেশী এবং সার্বিক শক্তি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এটি ভাজা, সেদ্ধ বা এমনকি পুড়িয়ে খাওয়া যায়। ৪. কলা প্রাকৃতিক শক্তির উৎস হিসেবে কলা প্রাকৃতিক শর্করা, ফাইবার এবং পটাসিয়ামে ভরপুর। এই পুষ্টির মিশ্রণ তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি করে। দুপুরে যখন অলস লাগে, তখন একটি কলা খেয়ে শক্তি ফিরে পেতে পারেন। ৫. অ্যাভোকাডো অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ফাইবারে পূর্ণ, যা দীর্ঘস্থায়ী শক্তি প্রদান করে। এতে বি ভিটামিনও রয়েছে, যা খাবারকে শক্তিতে রূপান্তরিত করে। বিশেষজ্ঞরা সুপারিশ করেন, হোল গ্রেইন টোস্টে অ্যাভোকাডো মাখিয়ে বা সালাদে মেশানো। ৬. ডার্ক চকোলেট উচ্চমানের ডার্ক চকোলেটে (৭০% কোকো বা তার বেশি) থিওব্রোমিন থাকে, যা একটি প্রাকৃতিক উদ্দীপক এবং শক্তির পরিমাণ বাড়ায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অল্প পরিমাণে ক্যাফেইনও সরবরাহ করে। আপনার ব্যাগে একটি ডার্ক চকোলেটের বার রাখুন এবং দুপুরে উপভোগ করুন। সালাউদ্দিন/সাএ
যদি আমরা দারিদ্র্য খুঁজে দেখি, তা সহজেই পাওয়া যায়, এবং অসাম্যও তেমনি। আমাদের সংস্কৃতিতে এই দুই উপাদান কোনোভাবেই অনুপস্থিত নয়। দারিদ্র্য ও অসাম্য একে অপরের খুব কাছাকাছি, এবং বললে ভুল হবে না যে, অসাম্য আসলে দারিদ্র্যের প্রধান কারণ। অসাম্য যে বিভাজন তৈরি করেছে ধনী-দরিদ্র, শহর-গ্রাম, শিক্ষিত-অশিক্ষিতের মধ্যে, সেটি দারিদ্র্য সৃষ্টি করছে—অর্থনীতি বা সংস্কৃতির মূল কাঠামো থেকে শুরু করে তার ওপরকাঠামো পর্যন্ত। অর্থনৈতিক দারিদ্র্যের জন্য সাংস্কৃতিক দারিদ্র্যের পথ বন্ধ হওয়ার কোনো বাধা নেই। তবে এটি সত্যি যে, শুধু অর্থ থাকলেই সংস্কৃতির উৎকর্ষ আসবে না, মধ্যপ্রাচ্যের তেল-ধনী কিছু দেশ তার বিপরীতে কথা বলছে। আমাদের আশপাশেই এমন কিছু ধনী পরিবার আছে, যারা যত বেশি ধনী হয়েছে, তত কম তাদের হৃদয়ে মানবিকতা বেড়েছে। হ্যাঁ, টাকা থাকলেই রুচি আসে না, কিন্তু বিপরীতটা সত্য—টাকা না থাকলে রুচি থাকতে পারে না, কিছুই থাকে না। মানুষ খেতে না পারলে বাঁচে না, যদিও খাওয়া কেবল জীবনযাপনের এক অঙ্গ।এখানে অবশ্যই একটি বিষয় স্পষ্ট করা উচিত—আমরা সংস্কৃতি বলতে খুব সংকীর্ণ অর্থে চিন্তা করছি না। সংস্কৃতির মধ্যে আমরা শুধুমাত্র সুকুমার শিল্পকলা বুঝাচ্ছি না, বরং এটি চিন্তা ও চেতনার প্রকাশও, যেখানে থাকবে ভাষা, সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান, শিক্ষা এবং জ্ঞানচর্চা। প্রকৃতপক্ষে, সংস্কৃতি হলো পরিবেশ ও প্রকৃতির ওপর মানুষের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার একটি প্রয়াস, যার মধ্যে আনন্দও রয়েছে, বেদনা রয়েছে। এই প্রয়াসের মাধ্যমে মানুষের চিন্তাভাবনা গড়ে ওঠে, এবং পরিবেশ ও প্রকৃতি যেমন বদলায়, মানুষও পরিবর্তিত হয়। যদি আমরা সংস্কৃতির বিভিন্ন ক্ষেত্রকে আলাদা আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করি, তবে দেখতে পাবো দারিদ্র্য এবং অসাম্য নানা ধরনের উপায়ে একে অপরকে প্রভাবিত করছে। এই আলোচনা মূলত একটি দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন, আর কিছু নয়। যদি আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তাহলে এটা শুধুমাত্র এই কারণে যে এটি কোনো গোপন বিষয় নয়, এর মধ্যে কোনো ধরনের অন্ধকার নেই। সত্য সোজাসুজি এবং বাস্তব, এর কার্যকারিতা ও সর্বব্যাপী প্রভাব। ২. এই অঞ্চলে ভাষা সবসময়ই একটি বড় সমস্যা ছিল। এর একটি প্রধান কারণ হলো অধিকাংশ মানুষ অশিক্ষিত। অশিক্ষিতদের ভাষা নেই, তাদের কণ্ঠে শুধু আর্তনাদ কিংবা কখনো কখনো এক ধরনের চিৎকার শোনা যায়। তবে শিক্ষিতদের মধ্যেও ভাষার সমস্যা অনেক সময় খেয়াল করা যায়, যে ভাষা হয়তো খুবই অদ্ভুত এবং কুৎসিত। বাংলা কখনোই রাষ্ট্রভাষা ছিল না। শাসক শ্রেণি সংস্কৃত, ফার্সি, ইংরেজি এবং কখনো কখনো উর্দু ব্যবহার করেছে। যদিও ইংরেজির ব্যাপক প্রভাব ছিল, স্বাধীনতার পরেও ইংরেজির ব্যবহার কমেনি বরং বেড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে, দেশী ঋণ, অনুদান, সাহায্য—সবকিছুই বিদেশ থেকে আসে। সমাজে যারা বেশি বিদেশি প্রভাব ধারণ করে, তারা তত বেশি সম্মানিত। তাই বাংলা ভাষার ব্যবহার কেন চলবে? সমাজের শীর্ষ শ্রেণি বাংলা চর্চা করে না। আজকাল আমরা দেখি, বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক উঠছে—বাঙালির মাতৃভাষা কি বাংলা, নাকি ইংরেজি? উচ্চশিক্ষিত অনেক বাঙালিই বাংলা ব্যবহার করতে অনাগ্রহী। এমনকি যারা বাংলা ব্যবহার করেন, তাদের বাক্যে ইংরেজি শব্দের আধিক্য বেড়েই চলেছে। এই শ্রেণি সংস্কৃতির সঙ্গে যুক্ত হতে চায়, তারা ইংরেজি ও সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে। বাংলা ভাষার গুরুত্ব যদি সত্যিই দেশের প্রতি ভালোবাসার প্রমাণ হয়, তাহলে দেশের কৃষক ও শ্রমিক শ্রেণি সবচেয়ে বড় দেশপ্রেমিক। তবে প্রশ্ন থেকে যায়—এই সাধারণ মানুষের জীবনে কি সত্যি কোনো ভাষা আছে? তাদের জীবনের রূঢ়তা এমন যে, ভাষা এক ধরনের বিলাসিতা মনে হয়। কিন্তু সাধারণ মানুষই ভাষা রক্ষা করছে, যেমন মা তার সন্তানকে রক্ষা করে। বাংলার ব্যবহার উচ্চবিত্তদের কাছে কম, যাদের জীবনে বিদেশি প্রভাব বেশি। তবে মধ্যবিত্তরা কিছুটা বাংলা ব্যবহার করেন, কিন্তু তাদেরও অসন্তোষ রয়েছে—তারা কখনো উচ্চবিত্ত থেকে দূরে, কখনো নিম্নবিত্তদের কাছে কাছে থাকে। আমরা প্রায়ই বলি, বাংলা চলছেনা—অথবা অফিস-আদালতে, উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহার হচ্ছে না। কিন্তু এমনকি বাংলা ভাষায় সব কিছু চালু করা সম্ভব না হলে, উচ্চশিক্ষা তো আরো দূরের বিষয়। এর মূল কারণ, টাকা আসে বিদেশ থেকে এবং ভাষাও বিদেশ থেকেই আসে। বাংলা ভাষা কখনো অফিস-আদালতে এবং উচ্চশিক্ষায় প্রচলিত হবে না, যদি না ব্যাপক সামাজিক বিপ্লব ঘটে। লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আবারও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। সম্প্রতি, শেখ সাদীর সঙ্গে তার সম্পর্কের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে শোবিজ অঙ্গনে। এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক আবেগঘন পোস্ট করেছেন পরীমণি। সেই পোস্টের মন্তব্যে শেখ সাদী পরীকে জানান, যদি খাবার খেতে কষ্ট হয় তবে যেন তিনি তাকে ফোন করেন। জবাবে পরীমণি জানান, তার ফোনে কল দেওয়ার মতো ব্যালেন্স নেই। শেখ সাদী মন্তব্যে লেখেন, ‘আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর খুব প্রিয়। আমার মনে হয়, এই বিষয়টি আপনি নিজেও অনুভব করতে পারেন। আল্লাহ আপনার সঙ্গে আছেন এবং তিনি অবশ্যই আপনার জন্য দারুণ কিছু পরিকল্পনা রেখেছেন।’ তিনি আরও লেখেন, ‘নিজেকে কখনো একা ভাববেন না। যার সাথে আল্লাহ থাকেন, তার আর কিছু দরকার হয় না। আপনার হাসি ধরে রাখার জন্য আল্লাহ আপনাকে সাহিম ও প্রিয়মকে দিয়েছেন।’তার কথায়, ‘আপনাকে এত সুন্দর হাসি দিয়েছেন, এটি বৃথা যেতে দেবেন না। সবসময় হাসিখুশি থাকুন, জীবন উপভোগ করুন। এরপরও যদি খেতে কষ্ট হয়, তাহলে নির্দ্বিধায় আমাকে ফোন করুন।’এরপর পরীমণি মজা করে লেখেন, ‘শেখ সাদী পিচ্চি পোলা, তোরে ফোন দেওয়ার মতো টাকা নাই রে আমার ফোনে সোনা।’ তাদের এই মন্তব্যের পর নেটিজেনরা নানা জল্পনা-কল্পনায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। রার/সা.এ
মাগুরায় নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশু আছিয়া বর্তমানে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুসারে। সোমবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ৮ মার্চ সন্ধ্যায় শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটি ভর্তি হওয়ার সময় অচেতন ছিল এবং তার শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়, বিশেষ করে গলার সামনের অংশে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানে নির্যাতনের চিহ্ন ছিল। শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডের পরামর্শ অনুযায়ী শিশুটির প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরীক্ষায় শিশুটির Pneumothorax (RT), ARDS ও Diffuse Cerebral Edema ধরা পড়েছে, যার জন্য তাৎক্ষণিক চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। এর আগে, ৫ মার্চ মাগুরায় বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তার জীবন রক্ষায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে সিএমএইচ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইএইচ
মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়াকে ক্ষমা চেয়ে লজ্জিত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ সংগঠক (দক্ষিণ) হাসনাত আবদুল্লাহ।বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি এই মন্তব্য করেন।পোস্টে তিনি লেখেন, আমাদের বোন আছিয়া আর বেঁচে নেই। আছিয়ার ধর্ষণের বিচারকাজের মাধ্যমে বাংলাদেশে ধর্ষকদের শাস্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির তৈরি হোক। বিচারহীনতা, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দীর্ঘসূত্রতা দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংসের যে অবস্থায় নিয়ে গেছে, শিশু আছিয়াকে হত্যাকারীদের মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে সেই বিচারব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক।তিনি আরও বলেন, পুরো বাংলাদেশ বোন আছিয়ার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, লজ্জিত।উল্লেখ্য, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে থাকা মাগুরার শিশুটি মারা গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এই তথ্য জানায়।পোস্টে বলা হয়, অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির আজ সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছিল, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসেনি।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। তারা শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।এর আগে, ৫ মার্চ শিশুটি মাগুরায় তার বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়। ৬ মার্চ সকালে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং সেখান থেকে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৮ মার্চ শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সংকটাপন্ন অবস্থায় ভর্তি করা হয়।বিআরইউ
হ্যারিকেন, টাইফুন বা সাইক্লোন—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, এ ধরনের শক্তিশালী ঝড় গরম ও আর্দ্র বাতাস থেকে শক্তি সংগ্রহ করে এবং সমুদ্রের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। সাধারণত ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি উষ্ণতা সম্পন্ন গ্রীষ্মমন্ডলীয় সমুদ্রে এসব ঝড়ের উৎপত্তি হয়।কিন্তু লক্ষ্য করার মতো বিষয় হলো, হ্যারিকেন কখনো নিরক্ষীয় অঞ্চলের কাছাকাছি যায় না এবং একবারও এই রেখা অতিক্রম করেনি। কিন্তু কেন নিরক্ষীয় অঞ্চলে হ্যারিকেন সৃষ্টি হয় না?নিউজউইকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে বায়ুমণ্ডলে কোরিওলিস বল সক্রিয় থাকে, যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে কার্যকর নয়। এই বলের প্রভাবে উত্তর গোলার্ধে বাতাস ও ঝড় ডানদিকে মোড় নেয় এবং দক্ষিণ গোলার্ধে বাঁদিকে বাঁক নেয়। কিন্তু নিরক্ষরেখায় এই বল অনুপস্থিত থাকায় কোনো ঝড় ঘূর্ণিরূপ নিতে পারে না। ফলে নিরক্ষরেখার ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বড় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না।ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও বায়ুমণ্ডল বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ম্যাথু বার্লো বলেন, ‘হ্যারিকেন সাধারণত নিরক্ষরেখা থেকে অনেকটা দূরে গঠিত হয় এবং বাতাসের গতিবিধির কারণে আরও দূরে সরে যায়। ইতিহাসে সবচেয়ে কাছাকাছি যে হ্যারিকেন সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিরক্ষরেখা থেকে প্রায় ১০০ মাইল দূরে ছিল।’হ্যারিকেন কেন নিরক্ষরেখা পার হয় না?যদি কোনো হ্যারিকেন নিরক্ষরেখা অতিক্রম করতে চায়, তাহলে তাকে তার ঘূর্ণনের দিক পরিবর্তন করতে হবে, যা প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী প্রায় অসম্ভব। কারণ, একবার ঘূর্ণন শুরু হলে সেটি হঠাৎ থামিয়ে উল্টো দিকে চালানো কঠিন হয়ে যায়।তবে কিছু গবেষক বলছেন, তাত্ত্বিকভাবে যদি কোনো শক্তিশালী ঝড় পর্যাপ্ত গতি ও শক্তি অর্জন করতে পারে, তাহলে এটি দুর্বল কোরিওলিস বল উপেক্ষা করেও নিরক্ষরেখা অতিক্রম করতে পারে। ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াইয়ের আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ গ্যারি বার্নসের মতে, এখন পর্যন্ত বাস্তবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি যেখানে কোনো হ্যারিকেন নিরক্ষরেখা পেরিয়েছে।এই কারণেই নিরক্ষীয় অঞ্চল হ্যারিকেনের ধ্বংসযজ্ঞ থেকে রক্ষা পায়। তবে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এসব ঝড় ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় সাত দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান। আইন উপদেষ্টা বলেছেন, শিশুটির ময়নাতদন্ত আজকেই সম্পন্ন হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মরদেহ হেলিকপ্টারে প্রেরণ করা হবে। সাত দিনের মধ্যে বিচার শুরু হবে। তিনি আরও বলেন, বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ হবে এবং দোষীদের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত হবে। এ সময় তিনি জানান, শিশু ধর্ষণ ও বলাৎকারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে এবং আগামী রবিবার বা সোমবার থেকেই কার্যক্রম শুরু হবে। আইন উপদেষ্টা আরও বলেছেন, সরকার কোনো ধরনের সময়ক্ষেপণ করেনি এবং দ্রুত সব অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, ধর্ষণের ঘটনায় আন্দোলনের আড়ালে কেউ কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইলে তার দিকে লক্ষ্য রাখা হবে। এর আগে, আজ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটির মৃত্যু ঘটে। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। বিডি প্রতিদিন/কেএ
বাগেরহাট-১ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) দুটি মামলা দায়ের করেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুদক এই মামলা দুটি দায়ের করেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন। তিনি জানান, সাবেক এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে তার আয়ের সাথে সঙ্গতিহীন ৬ কোটি ৪৫ লাখ ৫৭ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, ২০১৫ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তার নামে সাতটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ৫৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫১ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। এই অর্থ সম্পদের অবৈধ উৎস গোপন করতে রূপান্তর ও স্থানান্তর করা হয়েছে। এই অভিযোগে মানিলন্ডারিং আইনে এবং দুদকের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরদিকে, শেখ হেলালের স্ত্রী শেখ রূপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৬ কোটি ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ২৫৮ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। এই অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পৃথক একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বাহারুল আলম জানিয়েছেন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরার শিশুটি মৃত্যুবরণ করেছে। তাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার তদন্ত দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করা হবে। বৃহস্পতিবার বিকালে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে গণমাধ্যমকে এক বার্তায় তিনি এই তথ্য জানান। আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, মাগুরার ধর্ষণের শিকার শিশুর মামলা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা হবে। এর আগে দুপুর ১টার দিকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি মারা যায়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি আসামিদের দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ায় আনতে নির্দেশ দিয়েছেন। বিডি প্রতিদিন/আরাফাত
দুদকের চলমান মামলার কারণে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১টি হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে মোট ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা জমা রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করার পর এই আদেশ দেন। ২১টি হিসাবের মধ্যে ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের পাঁচটি এবং ফাহিম সাদেক খানের দুটি হিসাব রয়েছে। আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর পৃথক তিনটি আবেদনে এসব হিসাব অবরুদ্ধ করার অনুরোধ জানান। পরে বিচারক ওই আবেদন মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাদেক খান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্থের উৎস আড়াল করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খান ও সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, তদন্তকালে এসব অস্থাবর সম্পদ বিদেশে স্থানান্তর বা হস্তান্তরের মাধ্যমে আসামিরা পালানোর চেষ্টা করতে পারেন। তদন্তের স্বার্থে তাদের অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। বিডি প্রতিদিন/জামশেদ
পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় পটকা মাছ খেয়ে ৫ বছরের ফাতেমা আক্তার নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার চিরাপাড়া পার সাতুরিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চিরাপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নানা হানিফ সরদার জানান, রাতের খাবারে নদী থেকে ধরা মাছের সাথে পটকা মাছও খায়। পরে তারা অসুস্থ বোধ করলে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আমার নাতি মারা যায় এবং আমার স্ত্রী ও তিন মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুব্রত কর্মকার জানান, রাত ২টার দিকে পটকা মাছ খেয়ে গুরুতর অবস্থায় ৫ জন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাদের মধ্যে ফাতেমা আক্তার নামে ৫ বছরের শিশুটি হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই মারা যায়। মৃত শিশুর মা সাবিনা আক্তার (২০), খালা সিমা (১৮) ও সুমনা (১৩), এবং বৃদ্ধা নানী আকলিমা (৫৫) কে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বিডি প্রতিদিন/এএম
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় রাতের অন্ধকারে কালাগুজা ও বাহাদুরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার রাতে এই ডাকাতির ঘটনায় তিনজন গুরুতরভাবে আহত হন। তবে, সুনামগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমেদের তৎকালীন পদক্ষেপের কারণে গ্রামবাসী বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২০-২৫ জনের একটি ডাকাত দল কালো টুপি পরে দেশীয় অস্ত্রসহ ট্রলি গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে কালাগুজা গ্রামের মুখলেছ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়। খবর পাওয়ার পর, গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে একত্রিত হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। আতঙ্কিত ডাকাতরা হামলা চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে, যার ফলে তিনজন গুরুতর আহত হন এবং তারা বর্তমানে জামালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই রাতে বাহাদুরপুর গ্রামে মজনু মিয়ার বাড়িতেও ১২-১৩ জনের একটি ডাকাত দল হামলা চালায়, তবে গ্রামবাসীর প্রতিরোধের কারণে তারা পালিয়ে যায়। পালানোর সময় ডাকাত দল একটি ট্রলি গাড়ি ও দেশীয় অস্ত্র ফেলে রেখে যায়, যা পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় কালাগুজা গ্রামের মৃত শামছুল হকের ছেলে সবুজ মিয়া, জামাল মিয়া ও বকুল মিয়াসহ ১৫ জনকে আসামি করে জামালগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, "অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।" ইএইচ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো পৌঁছেছেন। রাশিয়ার রাজধানীতে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রতিনিধি দলের আগমন ঘটেছে, এমনটাই জানিয়েছে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস। আগে, ক্রেমলিন জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা রাশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন এবং তাদের সাথে আলোচনার জন্য বৈঠকের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, একদিন আগে রুশ প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজের সাথে ফোনে আলোচনা করেছেন। শান্তির আলোচনার দিকে পদক্ষেপযুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সৌদি আরবের জেদ্দায় ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কিয়েভ সাময়িক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়। এর পরপরই মার্কিন কূটনীতিকরা রাশিয়ার সাথে আলোচনার জন্য মস্কো যান। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই বিষয়ে মন্তব্য করেন, 'এখন বল পুরোপুরি রাশিয়ার কোর্টে।' তিনি বলেন, শান্তি আলোচনা ছাড়া এই যুদ্ধের সমাধান সম্ভব নয়। ক্রেমলিন জানিয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছে এবং এ বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে ফোনালাপ হতে পারে। ইউক্রেন যুদ্ধ : মস্কো ও ওয়াশিংটনের উত্তপ্ত আলোচনাজেদ্দার বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, যুদ্ধবিরতির বিষয়টি এখন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বে। এদিকে, হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ইতিবাচক সঙ্কেত পেয়েছেন। তবে তিনি সতর্ক করেছেন, এটি একমাত্র ইতিবাচক খবর নয়, এটি একটি গুরুতর পরিস্থিতি। এ সপ্তাহের শুরুতে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির মধ্যে তীব্র বাক-বিতণ্ডা হয়। সেই সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সও আলোচনার অংশ ছিলেন। এর ফলস্বরূপ, ট্রাম্প ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা বন্ধের নির্দেশ দেন এবং গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান স্থগিত করেন। রাশিয়ার পাল্টা পদক্ষেপ: পুতিনের কুরস্ক সফরযুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালীন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুরস্ক সফর করেন। এই অঞ্চলে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সামরিক অগ্রগতি অর্জন করেছে এবং পাঁচটি গ্রাম দখল করেছে বলে মস্কো দাবি করেছে। ক্রেমলিন জানায়, পুতিন কুরস্কের একটি সামরিক কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করেন এবং সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেন যেন কুরস্ক অঞ্চল পুরোপুরি মুক্ত করা হয়। যদিও যুদ্ধবিরতি নিয়ে রাশিয়ার আনুষ্ঠানিক অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়, পশ্চিমা কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এই আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল
একটি ট্যাঙ্কার, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে, সিরিয়ার বানিয়াস বন্দরের কাছাকাছি নোঙর করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ট্যাঙ্কারটি সেখানে ডিজেল সরবরাহ করতে আসছে। রাশিয়া সিরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে এই পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় মস্কো সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে সমর্থন জানায়। তবে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী রাশিয়া, কারণ দেশটি সিরিয়ায় তার সামরিক ঘাঁটি দুটি ধরে রাখতে চায়। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ডিজেল সরবরাহএলএসইজি-এর তথ্য অনুযায়ী, বার্বাডোস পতাকাবাহী ট্যাঙ্কার ‘প্রক্সিমা’ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার প্রিমোর্স্ক বন্দর থেকে প্রায় ৩০,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। বর্তমানে এটি সিরিয়ার বাণিজ্যিক বন্দরের কাছে নোঙর করা অবস্থায় রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ১০ জানুয়ারি ‘প্রক্সিমা’সহ ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত সপ্তাহে ‘প্রস্পেরিটি’ নামের আরেকটি ট্যাঙ্কার সিরিয়ার উপকূলে পৌঁছায়, যা ৩৭,০০০ মেট্রিক টন ডিজেল বহন করছে। তথ্য গোপন করার উদ্দেশ্যে উভয় ট্যাঙ্কারই সিরিয়ায় পৌঁছানোর পর তাদের ট্র্যাকিং ডিভাইস বন্ধ করে দিয়েছে, যা শিপিং তথ্য থেকে জানা গেছে। রাশিয়া-সিরিয়া সম্পর্কের নতুন দিগন্তসম্প্রতি সিরিয়ায় রাশিয়ায় মুদ্রিত নতুন সিরীয় মুদ্রার চালান পৌঁছেছে। ভবিষ্যতেও এই ধরনের চালান আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মস্কো ও দামেস্কের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো—যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাজ্য—সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার চিন্তা করছে, যা দেশটির অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনে সহায়তা করতে পারে। বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল